অনলাইন ব্যবসায় বিক্রয় বাড়ানোর পদ্ধতি ও কলা কৌশন জেনে নিন এবং অনলাইন ব্যবসায় বিক্রয় বাড়ীয়ে ফেলুন । খুব সহজ ও মজাদার…
অনলাইন ব্যবসা বর্তমান সময়ে যুগোপযোগী একটি ব্যবসা মাধ্যম। ব্যবসায়ী এবং নতুন উদ্যোগক্তাগণের কাছে এটি খুব জনপ্রিয় । অনলাইনে আপনি ব্যবসা শুরু করলেই শুধু হবে না । এই অনলাইন ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিক্রয় বাড়ানোর কলা -কৌশণ । এই ব্যবসায় ভাল ফল বা সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু কাজ ধাপে ধাপে করে যেতে হবে ।
ধাপগুলো আনন্দদায়ক এবং মাজাদার । প্রথমে একটু মিলিয়ে নিন অনলাইন ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন?
অনলাইন ব্যবসার হাতিয়ার / টুলস
- যে ব্যবসা করতে চান সে বিষয়ে সঠিক ধারনা
- সঠিক মানস্মত পণ্য (নিজের উৎপাদিত হতে পারে/ অন্য উৎপাদনকারীর হতে পারে)
- একটি স্মার্ট ফোন / ল্যাপটপ / ডেক্সটপ /
- একটি আদর্শ ইকমার্স ওয়েবসাইট (আদর্শ ইকমার্স কি?) ফেশবুক(www.facebook.com) দিয়েও শুরু করতে পারবেন ।
অনলাইন ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় – মানসম্মত পণ্য ও সময়মত ডেলিভারী সেবা। ইকমার্স ওয়েব সাইট টি অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলী এবং এস ই ও ফ্রেন্ডলী হতে হবে। ওয়েব সাইট বাংলায় হলে সবচেযে ভাল। যদি আন্তজার্তিকভাবে ব্যবসা করতে চান তখন ইংরেজি ভার্শনে করে নিবেন । ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল অপশন থাকতে হবে । যেমন অফার তৈরির সুবিধা, কুপন ব্যবহারের সুবিধা, প্রোডাক্ট এস ই ও সুবিধা, অর্ডার ট্রাকিং সুবিধা ইত্যাদি ।
আমাদের সাজেশন – অভয় রেডি-মেড-ইকমার্স ওয়েবসাইট
অনলাইন ব্যবসায় বিক্রয় বাড়ানোর পদ্ধতিঃ
প্রথম ধাপঃ প্রথমে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাজিয়ে নিতে হবে । যে তথ্যগুলো অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এ থাকতে হবে তা হচ্ছে -পেমেন্ট মেথড, ডেলিভারী পদ্ধতি, ওয়ারেন্টি ওগ্যারান্টি শর্ত, অর্ডার বাতিল শর্তসমূহ, পন্য ও টাকা ফেরত শর্ত, অর্ডার পদ্ধতি, পেমেন্ট প্রদান পদ্ধতি, অডার চেকিং পদ্ধতি, অডার বাতিল পদ্ধতি, কুপন ব্যবহার পদ্ধতি, ব্লগ ।
উপরোক্ত বিষয় গুলো থাকার কারণে একজন ক্রেতা আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আপনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে । আপনার ব্যবসার কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন । এতে ক্রেতার মনে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি হবে । আপনার ওয়বসাইট গ্রাহকের কাছে সহজ মনে হবে । ওয়েবসাইট যত সহজ ও বোধগম্য হবে, তত আপনার অনলাইন ব্যবসার জন্য ভাল।
দ্বিতীয় ধাপঃ আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের অনপেজ এ এস ই ও (On page SEO) করে নিতে হবে । অনপেজ এ এস ই ও করার কারণে গুগল (Google), Yahoo, Bing ইত্যাদি সকল সার্চ ইন্জিন বুঝতে পারে আপনার ওয়েব সাইটির বিষয় বস্তু , এবং কি সেবা প্রদান করেন । যে কারণে গুগলে আপনার ই-কামার্স ওয়েব সাইটি সার্স রেজাল্ট এ দেখাবে । আর এই সার্স ইন্জিনের মাধ্যমেই আপনার ক্রেতাগন আপনার ই-কমার্স ওয়েব সাইটে প্রবেশ করবেন । অন লাইন ব্যবসায় বিক্রয় বাড়ানোর সর্বউত্তম মাধ্যম ।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন অনপেজ ই এস ই ও কি ?
তৃতীয় ধাপঃ সোসাল মিডিয়া গুলোতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি করে বিজনেজ পেজ তৈরি করে নিতে হবে । বিজনেজ পেজ গুলো তেরি করার সময় অবশ্যই সঠিক নিয়মে সাজিয়ে নিতে হবে ।
গুরুত্বপূন্য কয়েকটি সোসাল মিডিয়ার লিংকঃ
- http://www.facebook.com/
- https://www.twitter.com/
- https://www.tumblr.com
- https://www.linkedin.com/
- www.pinterest.com
- https://www.reddit.com
সোসাল মিডিয়াতে কিভাবে বিজনেজ পেজ তৈরি করবেন ?
চতুর্থ ধাপঃ প্রডাক আপলোড শুরু করতে হবে । প্রডাক আপলোড অবশ্যই এ এস ই ও ফেন্ডলী ভাবে করতে হবে । এবং প্রতিটি প্রোডাক্ট আপলোড শেষে, সোসাল মিডিয়া বিজনেজ পেজ গুলোতে শেয়ার করতে হবে । শেয়ার অবশ্যই এ এস ই ও ফেন্ডলী ভাবে করতে হবে ।
এ এস ই ও ফেন্ডলী প্রডাক আপলোড পদ্ধতি কি ?
এ এস ই ও ফেন্ডলী প্রডাক শেয়ার কিভাবে করতে হয় ?
পঞ্চম ধাপঃ আপনার ক্রেতা/গ্রাহক গণদের জন্য সুন্দর-সুন্দর বান্ডিল অফার ও কূপন সুবিধা তৈরি করতে হবে । কূপন এবং অফার গুলো সোসাল মিডিয়া পেজ গুলোতে এ এস ই ও ফেন্ডলী ভাবে শেয়ার করতে হবে । বেশি প্রচার এবং প্রসারের জন্য ফেসবুকে অফার গুলো বুস্ট করার মাধম্য বিক্রয় বাড়াতে পারবেন ।
*** ফেসবুক বিজনেজ পেসটি একটু অন্য ভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। এখানে মাঝে মাঝে গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিভিন্ন দিবস এর শুভেচ্ছা ও অভিন্দন পোস্ট দিতে হবে। একাধারে শুধু প্রোডাক্ট শেয়ার করা যাবে না । গল্প, গান , কবিতা ইত্যাদি যা আপনার গ্রাহকের ভার লাগতে পারে এবং রুচীশিল । তবে সবকিছুর পিছনে কারন বা যুক্তিকতা থাকতে হবে।
পেয়েইড অ্যাডঃ পেয়েইড অ্যাড বলতে ফেসবুক বুস্ট, গুগল এ্যাড, এছাড়াও অনেক মাধ্যমে রয়েছে । যে গুলোর মাধ্যমে বিক্রয় বাড়াতে পারবেন ।
অনলাইন ব্যবসায় বিক্রয় বাড়ানোর চলমান ধাপ
ষষ্ঠ ধাপঃ Off Page SEO কাজ সবসময় করে যেতে হবে । অফ পেজ এস ই ও মুলত ব্যাকলিংক তৈরি করা । এগুলো আপনা নিজেরাই নিয়মিতভাবে করতে পারবেন অথবা কোন এজেন্সির মাধ্যমে খুব দ্রত করে নিতে পারবেন । ব্যাকলিংক তৈরি করে নেবার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে – কোন কোন ওয়েবসাইট এ আপনার ব্যাকলিংকগুলো তৈরি করে নিবেন । তার একটি তালিকা এবং কয়টি ব্যাকলিংক তৈরি করে নিবেন ।