অনলাইন লাইটিং ব্যবসা পদ্ধতি / কিভাবে শুরু করবেন

অনলাইন লাইটিং ব্যবসা পদ্ধতি : অনলাইনে লাইটিং ব্যবসা বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় এবং নতুন প্রজম্মের ব্যবসা। অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যবসা অনেক সহজ,সুবিধাজন, লাভজনক এবং সাশ্রয়ী। আজকের আলোচনাটি তাদরে জন্য – যাদের বর্তমানে লাইটিং ব্যবসা রয়েছে এবং সেই ব্যবসা এখন অনলাইনের মাধমে বাড়াতে চাইছেন । মূল আলোচনার বিষয় – কিভাবে অনলাইন লাইটিং ব্যবসা শুরু করবেন সে বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে ।

প্রথম ধানঃ আপনাকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিযে একটি ডোমেন নাম কিনতে হবে। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং হোস্টিং প্যাকেজ নিতে হবে। ডোমেন নাম অবশ্য ডট কম(.com) বা ডট কম ডট বিডি (.com.bd) হলে ভাল । হোস্টিং অবশ্যই ভাল স্পিড এবং সিকিউর হতে হবে । ইকমার্স ওয়েবসাইটটি অবশ্যই একটি আদর্শ ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে হবে । অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি এস ই ও (SEO Friendly eCommerce website) এবং ইউজার ফ্রেন্ডলী হতে হবে । এ সব সেবা একই প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে পারবেন

আদর্শ ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি? জানতে ক্লিক করুন

অভয় রেডি ই-কমার্স ব্যবহার করুন কোন রকম ঝামেলা ছাড়া

দ্বিতীয় ধাপঃ ওয়েবসাইট এর অন-পেজ এস ই ও করে নিতে হবে । এবং বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া সাইটগুলোতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিজনেস পেজ তৈরি করবেন । সোশাল পেজগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে নিবেন । (এগুলো আপনারা নিজেরাও করতে পারবেন এবং এজেন্সি মাধ্যমে করে নিতে পারবেন । সবচেয়ে ভাল হয় একজন দক্ষ মানুষকে দিয়ে অনলাইন ব্যবসাটি পরিচালনা করা )

তৃতীয় ধাপঃ ওয়েবসাইট এ প্রোডাক্ট আপলোড শুরু করতে হবে । প্রোডাক্ট আপলোড অবশ্যই এস ই ও (SEO) ফ্রেন্ডলী ভাবে করতে হবে । যেখান থেকে উপরের সার্ভিসগুলো নিবেন তারাই এগুলো পদ্ধতি আপনাদেরকে জানিয়ে দিবে বা টিউটোরিয়া প্রদান করবে । নিয়মিতভাবে প্রোডাক্ট আপলোড করতে হবে এবং সোশাল মিডিয়াগুলোতে শেয়ার দিতে হবে । শেয়ার করার সময় অবশ্যই এস ই ও (SEO) ফ্রেন্ডলী ভাবে শেয়ার দিতে হবে।

এস ই ও (SEO) ফ্রেন্ডলী প্রোডাক্ট আপলোড কি?

এস ই ও (SEO) ফ্রেন্ডলী শেয়ার কি?

চতুর্থ ধাপঃ আপনার ভিজিটিং কার্ড এবং ভাউচার আপডেট করে নিতে হবে । সেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দিতে হবে। আপনার বর্তমান সকল গ্রাহককে মোবাইল ম্যাসেজ এর মাধ্যমে বা ভিজিটিং কার্ড প্রদানের মাধ্যমে অবগত করতে হবে । বিশেষ করে যারা দুরের গ্রাহক তাদেরকে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অর্ডার করার কথা জানাবেন । যারা পাইকারী গ্রাহক তারা যেন পাইকারী মূল্য দেখতে পারে এবং অর্ডার করতে পারে। তাদেরকে ওয়েবসাইট এ রেজিট্রেশন করতে বলবেন অথবা আপনারাই একাউন্ট তৈরি করে দিবেন।

আপনার গ্রাহকদেরকে অনলাইনে অর্ডার করতে উৎসাহিত করবেন । অনলাইন কেনা-কাটা করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করবেন । আপনার শোরুমে যে গ্রাহকগণ কেনা-কাটা করবে তাদেকে পণ্যের সঙ্গে একটি ভিজিটিং কার্ড দিতে হবে । এবং তাদেরকে পন্য কেনা-কাটার সময় অনলাইনে কেনার ব্যপারে কথা বলতে পারেন ।

আপনাদের প্রোডাক্ট এর দাম বা প্রোডাক্ট দেখতে চাইলে – আপনাদের ওয়েব সাইট এর ঠিকানা/লিংক দিবেন। যেমন : www.avoybd.com

পঞ্চম ধাপঃ লোকাল কুরিয়ার এবং যারা সারা দেশে কুরিয়ার ডেলিভারী করে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর খোজ নিতে হবে । ভাল ২-৪ টি প্রতিষ্ঠান এর তথ্য সংগ্রহে রাখতে হবে । কুরিয়ারগুলোর পেমেন্ট পদ্ধতি, ডেলিভারী পদ্ধতি, ডেলিভারী মূল্য সবকিছু তথ্য জেনে কাজ করতে হবে । ডেলিভারী কত সহজে গ্রাহকের দরজায় পৌছানো যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। অনলাইন ব্যবসার সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে, ভাল পণ্য সেবা এবং ডেলিভারী সেবা দিতে পারেন । আপনার গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে এবং বিক্রয় বাড়বে।

ষষ্ঠ ধাপঃ আপনার ক্রেতা/গ্রাহক গণদের জন্য সুন্দর-সুন্দর বান্ডিল অফার ও কূপন সুবিধা তৈরি করতে হবে । কূপন এবং অফার গুলো সোসাল মিডিয়া পেজ গুলোতে এস ই ও ফেন্ডলী ভাবে শেয়ার করতে হবে । বেশি প্রচার এবং প্রসারের জন্য ফেসবুকে অফার গুলো বুস্ট করার মাধম্য বিক্রয় বাড়াতে পারবেন ।

*** ফেসবুক বিজনেজ পেসটি একটু অন্য ভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। এখানে মাঝে মাঝে গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিভিন্ন দিবস এর শুভেচ্ছা ও অভিন্দন পোস্ট দিতে হবে। একাধারে শুধু প্রোডাক্ট শেয়ার করা যাবে না । গল্প, গান , কবিতা ইত্যাদি যা আপনার গ্রাহকের ভাল লাগতে পারে এবং রুচীশিল । তবে সবকিছুর পিছনে কারন বা যুক্তিকতা থাকতে হবে।

অনলাইন লাইটিং ব্যবসা পদ্ধতি তে প্রোডাক্ট স্টোক ম্যানেজমেন্ট

সবসময় সকল প্রোডাক্ট ওয়েবসাইট এ আপলোড করে রাখবেন। সবময় প্রোডাক্ট এর স্টোক ম্যানেজমেন্ট করতে হবে । স্টোক ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরন করতে হবে ।

  • যেগুলোর স্টোক সবসময় হতের কাছে থাকে। অথবা গ্রাহক অর্ডার করলে তা সহজে যোগান দিতে পারবেন। সেগুলো স্টোক ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজন নেই।
  • যে প্রোডাক্টগুলোর যোগান সহজে দিতে পারবেন না সেগুলো শুধু স্টোক ম্যানেজমেন্ট করবেন ।

অনলাইন লাইটিং ব্যবসা র চলমান কর্যক্রম

Off Page SEO কাজ সবসময় করে যেতে হবে । অফ পেজ এস ই ও মুলত ব্যাকলিংক তৈরি করা । এগুলো নিজেরাই নিয়মিতভাবে করতে পারবেন অথবা কোন এজেন্সির মাধ্যমে খুব দ্রত করে নিতে পারবেন । ব্যাকলিংক তৈরি করে নেবার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে – কোন কোন ওয়েবসাইট এ আপনার ব্যাকলিংকগুলো তৈরি করে নিবেন । তার একটি তালিকা এবং কয়টি ব্যাকলিংক তৈরি করে নিবেন ।

অনেক কথাই বাদ পড়ে যেতে পারে । যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন । সরাসরিও কথা বলতে পারেন আমাদের সাথে

যদি আপনার লাইটিং ব্যবসার জন্য আদর্শ ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয় ঘুরে আসুন আমাদের রেডিমেড ই-কমার্স গ্যালারী থেকে

ইউটিউব

Leave a Reply